শেখ মুজিবের জন্য কোরআন খতম করা স্বঘোষিত মাওলানার মুখোশ খুলে দিলেন সঙ্গে থাকা স্ত্রী

১৫ই আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী ঘিরে ধানমন্ডি ৩২-এ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কড়া পাহারা। সকাল থেকেই কয়েকজন শ্রদ্ধা জানাতে এসে বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে পড়েন। এর মধ্যে একটি ঘটনা ভাইরাল হয়ে তোলপাড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ নামে পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি তার পরিবার নিয়ে পিরোজপুর থেকে সম্প্রতি ঢাকায় এসেছেন। তারা শেখ মুজিবের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে চাইলে বাঁধার মুখে পড়েন।

ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষুব্ধ জনতার বাঁধায় শ্রদ্ধা জানাতে না পেরে রিকশায় চড়ে ফিরে যাচ্ছেন ওই ব্যক্তি। সঙ্গে রয়েছে স্ত্রী-সন্তান। এসময় সাংবাদিকদেরকে তাকে বলতে শোনা যায়, আমি তার (শেখ মুজিব) জন্য দুইটা খতম দিয়েছি, ১৫ আগস্ট যারা নিহত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের জন্য‌। এ সময় পাশে থাকা স্ত্রী প্রতিবাদ করে বলেন, হ্যাঁ খতম দিছেন! করে না সারা বছর কোরআন তেলাওয়াত!

পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার নাম মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ, পিরোজপুর থেকে এসেছেন। ঢাকায় আসছেন কিছুদিন আগে। তিনি বলেন, “আমি বঙ্গবন্ধুকে খুবই ভালোবাসি।”তখন স্ত্রী বিরক্ত হয়ে আবার বলেন, আমার কিন্তু নেমে যেতে ইচ্ছা করছে। এ সময় স্বামীর মাথায় সমস্যা আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তার স্বামী একপর্যায়ে শেখ মুজিবের জন্য মায়া কান্না শুরু করলে ক্ষুব্ধ হয়ে রিক্সা থেকে নেমে যান স্ত্রী।

এর আগে সে ধানমন্ডি ৩২’র মূল ফটক পার হয়ে ভেতরে যেতে চাইলে পুলিশের ব্যারিকেডে বাঁধার সম্মুখীন হয়। এসময় তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর জন্য কোরআন শরিফ খতম করেছি। যে দেশের জন্য সব কিছু করেছে, দেশের জন্য মারা গেছে। ১৫ই আগস্ট আমি তার কবর জিয়ারত করতে পারব না? আল্লাহর কাছে বিচার দেব। এই দেশ বৃটিশ এবং পশ্চিমা শক্তি দখল করেছে’।

সঙ্গে থাকা তার স্ত্রী বলেন, ‘তার(স্বামীর) সমস্যা আছে। বেশি কথা বলেন। আমরা ঢাকায় এসেছি এক মাস হলো, এখানে কিছু চিনি না। হঠাৎ এখান দিয়ে যাওয়ার সময় আমার স্বামী ভেতরে ঢুকে পড়েছে।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। নেটিজেনরা ভিডিওটি শেয়ার করে মন্তব্য করেছেন, জাহান্নামে সবার আগে আলেমরা যাবে, এটা যারা বিশ্বাস করেননা তারা এই ভিডিওটা দেখেন। একজন বউ ভালো করেই জানে তার স্বামী কেমন। যে স্বামী তার বউয়ের কাছে ভালো সে সত্যিকার অর্থে ভালো। আর যে দুনিয়ার কাছে ভালো কিন্তু বউয়ের কাছে খারাপ সে খারাপ। আবার কেউ লিখেছেন, মাওলানা সাব আপনি তো গোপালগঞ্জ যাবেন। গোপালগঞ্জ গিয়ে জিয়ারত করেন এখানে কেন?

ফেসবুকে আলামিন শিকদার নামে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, মহিলা চায় না তার স্বামী সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিদ্রুপ, কটুক্তি, সমালোচনা,হেয় হয়ে মানুষের নিন্দার ঝড় উঠুক। তদন্ত করে দেখা উচিত সে কি ভারতের দালাল, ফ্যাসিষ্টদের সহচর, জুলাই গনহত্যার সম্পৃক্ত আসামি কিনা। কারন এই. সুশীল কেন এই গণহত্যার বিরুদ্ধে কোন অনুশোচনা না করে এখন আইছে দালালি করতে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*