ফ্রিজে বিস্ফোরণের ঝুঁকি! যেসব ভুলে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা

বর্তমানে প্রতিটি বাসার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্র হলো রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ। খাবার সংরক্ষণ থেকে শুরু করে অপচয় রোধে এর কার্যকারিতা অপরিসীম। তবে এই প্রয়োজনীয় যন্ত্রটিই হতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ যদি না হয় সঠিক ব্যবহার ও যত্ন।

সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রিজ বিস্ফোরণের ঘটনা বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, কম্প্রেসার থেকে আগুন ধরে গিয়ে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সাধারণ ভুলেই এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ফ্রিজ বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণগুলো হলো:
ভুল ব্যবহার:
১০-১৫ বছর পুরনো ফ্রিজ ব্যবহার করা হলে তার কার্যক্ষমতা কমে যায়। ত্রুটিপূর্ণ ব্যবহার কিংবা নিয়ম না মেনে চালালে ফ্রিজে শর্ট সার্কিট বা কম্প্রেসার বিস্ফোরণের ঝুঁকি থাকে।

পুরনো ফ্রিজ:
প্রতিনিয়ত চালু থাকা পুরনো ফ্রিজ অতিরিক্ত গরম হয়ে যেতে পারে। এতে কম্প্রেসারে চাপ পড়ে এবং সেটি ফেটে গিয়ে আগুন ধরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

অতিরিক্ত খাবার রাখা:
ফ্রিজে যদি ধারণক্ষমতার বেশি জিনিস রাখা হয়, তখন এর ঠাণ্ডা করার দক্ষতা কমে যায়। এতে ভেতরে তাপমাত্রা বাড়ে, কম্প্রেসারের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে এবং বিপদের আশঙ্কা তৈরি হয়।

নিম্নমানের প্লাগ-সকেট ব্যবহার:
নিম্নমানের বা দুর্বল প্লাগ ও সকেট শর্ট সার্কিটের অন্যতম কারণ। অনিয়মিত ভোল্টেজ ওঠানামাও ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে যদি স্ট্যাবিলাইজার না ব্যবহার করা হয়।

কুলিং কয়েলের যত্ন না নেওয়া:
ফ্রিজের গ্যাস লিক হলে তা স্পার্কের সংস্পর্শে এসে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। তদুপরি, ভুলভাবে পরিষ্কারের সময় ভেজা অবস্থায় সার্কিটে পানি ঢুকলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বাড়ে।

অপরিষ্কার ও এলোমেলোভাবে ব্যবহৃত ফ্রিজ:
নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এবং অপ্রয়োজনীয় জিনিস রাখলে ফ্রিজের কার্যক্ষমতা ব্যাহত হয়। ফ্রিজের পেছনে যথেষ্ট জায়গা না থাকলে বায়ু চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়, ফলে তাপমাত্রা বেড়ে যায়।

ভোল্টেজ ওঠানামা:
অতিরিক্ত ভোল্টেজ ওঠানামা ফ্রিজের বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশে ক্ষতি করে। পুরনো ফ্রিজ হলে অবশ্যই স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করা জরুরি।

স্পার্ক বা গন্ধ পাওয়া:
ফ্রিজ থেকে যদি ধোঁয়া, গন্ধ বা বিদ্যুৎচমকের মতো শব্দ আসে, তবে অবিলম্বে একজন বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

সতর্কতা থাকলেই রক্ষা
ফ্রিজ বিস্ফোরণের মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতা এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ খুবই জরুরি। ব্যবহারকারীদের উচিত প্রতি ছয় মাস অন্তর ফ্রিজ সার্ভিসিং করানো এবং যন্ত্রাংশে কোনো ত্রুটি দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*