‘ওপর থেকে (ফায়ারিং) করাচ্ছি, অলরেডি শুরু হইছে কয়েকটা জায়গায়’ হাসিনা-তাপসের ফোনালাপ ফাঁস

জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানো ও ‘প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহারের’ নির্দেশ নিজেই দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এমন তথ্য উঠে এসেছে সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি অডিও বার্তায়। ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে শেখ হাসিনার কথোপকথনের ১ মিনিট ১৯ সেকেন্ডের একটি অডিও এখন ভাইরাল। এর আগে বিবিসির এক অনুসন্ধানেও উঠে আসে, আন্দোলন দমাতে লেথাল ওয়েপন (প্রাণঘাতি অস্ত্র) ব্যবহারের নির্দেশ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেই আসে। সেই নির্দেশনার অডিওর সত্যতাও মিলেছে—যেখানে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়: ‘আমি নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি, এখন লেথাল ওয়েপন ব্যবহার করবে, যেখানে পাবে সোজা গুলি করবে।’

বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম নিজের ফেসবুক আইডিতে এমন একটি অডিও শেয়ার দেন। নিচে অডিওটির তাদের কথপোপকথনের অডিওটি হুবহু উল্লেখ করা হলো-

শেখ হাসিনা: আমি সেনাপ্রধানের সাথে কথা বলছি, ওরা রেডি থাকবে। ঠিক আছে, এখন তোমরা অন্য ইয়ে খুঁজতেছি, ড্রোন দিয়ে ছবি নিচ্ছি। আর হেলিকপ্টার ইয়ে মানে কয়েক জায়গায়।
ফজলে নূর তাপস: তাহলে কিছু ছবি দেখে পাকড়াও করা যায় না রাতের মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ ঘুমন্ত নারীকে ধর্ষণ চেষ্টা, বিএনপি সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা
শেখ হাসিনা: সবগুলিকে অ্যারেস্ট করতে বলেছি রাত্রে।
তাপস: হ্যাঁ, পাকড়াও, পাকড়াও করলে ওদের ঠিক হবে।

শেখ হাসিনা: না ওটা বলা হয়ে গিয়েছে, ওটা নিয়ে র‌্যাব-ডিজিএফআই সবাইকে বলা হয়েছে যে, যে যেখান থেকে যে কয়টা পারো, ফরে ফেলো। আর যেখানে গ্যাদারিং দেখবে সেখানে ওই উপর থেকে (ফায়ারিং ) করাচ্ছি, অলরেডি শুরু হইছে কয়েকটা জায়গায়।
তাপস: জি, জি।

শেখ হাসিনা: শুরু হয়ে গেছে।
তাপস: জি, মোহাম্মদপুরে, মোহাম্মদপুর থানার দিকে মনে হয় যাচ্ছে ওরা একটা।

আরও পড়ুনঃ ভুয়া সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে ১৬ লাখ টাকার প্রতারণা, তারপর…
শেখ হাসিনা: মোহাম্মদপুর থানার দিকে?
তাপস: হ্যাঁ।

শেখ হাসিনা: তো ওখানে পাঠায় দিক; র‌্যাব’রে।
তাপস: জি, আপনার নির্দেশনা লাগবে, উনি এখনো।

শেখ হাসিনা: আমার নির্দেশনা দেওয়া আছে, ওপেন নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি, এখন লেথাল উয়েপন (প্রাণঘাতি অস্ত্র) ব্যবহার করবে, যেখানে পাবে সোজা গুলি করবে।
তাপস: জি, জি।

শেখ হাসিনা: ওদের বলা আছে, আমি এতদিন বাধা দিয়ে রাখছিলাম। ওই যে স্টুডেন্টরা ছিল, ওদের সেফটির কথা চিন্তা করে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*