
পাকিস্তানে ভয়াবহ মৌসুমী বন্যায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৭০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এনডিএমএ) জানিয়েছে, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরও তীব্র বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে।
বুধবার (২০ আগস্ট) ভারতের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ তথ্য জানিয়েছে।
করাচিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা
করাচির মেয়র মুর্তাজা ওয়াহাব শহরে টানা বৃষ্টির কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। একইসঙ্গে সিন্ধু সরকার শহরের সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি
এনডিএমএ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইনাম হায়দার মালিক জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন প্রদেশে মৃত্যুর পরিসংখ্যান:
খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে: ৪২৭ জন
পাঞ্জাবে: ১৬৪ জন
সিন্ধুতে: ২৯ জন
বেলুচিস্তানে: ২২ জন
পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে: ৫৬ জন
ইসলামাবাদে: ৮ জন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টানা ভারি বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক পাহাড়ি ঢলের কারণে বন্যার তীব্রতা বেড়েছে। গত শুক্রবার থেকে এ বন্যা পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক মৌসুমী দুর্যোগে পরিণত হয়েছে।
আশঙ্কা সামনে
এনডিএমএর সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী দুই সপ্তাহে টানা বৃষ্টির ফলে বন্যার পরিধি আরও বিস্তৃত হতে পারে। এতে কৃষি, অবকাঠামো এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় ভয়াবহ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
Leave a Reply