ব্রেকিং নিউজ: শিক্ষিকার বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ

মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির দ্বিতীয় প্রান্তিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত সহকারি শিক্ষিকার নাম শাহনাজ নাসরিন। তিনি উপজেলার উপজেলার ৪০ নং দৌলতপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা।

সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৭ টার দিকে শিক্ষিকা শাহনাজ নাসরিনের ফেসবুকে পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পোস্ট করা হয়।ফাঁস হওয়া ওই প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা শুরু হয় দুপুর দেড়টায়। তবে এর আগেই সকাল ৭.০০ টার প্রশ্নপত্র পেয়ে যান শিক্ষার্থীরা।

বিষয়টি জানতে চাইলে সহকারি শিক্ষিকা শাহনাজ নাসরিন বলেন, আমি স্মার্টফোন চালাই না, ফোনটা বাসায় থাকে। স্মার্টফোনটা আমার স্বামী চালায়। আমি এ ব্যাপারে আর বেশি কিছু বলতে পারব না।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, আমি গত রোববার উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রশ্ন এনে বিদ্যালয়ের নির্ধারিত আলমারিতে প্রশ্নগুলো রেখে বাড়িতে চলে যাই। আজ যথাসময়ে এসে প্রশ্ন বের করে পরীক্ষা শুরু করেছি। আমি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমার বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহনাজ নাসরিনের ফেসবুক পেজ থেকে ৫ম শ্রেণির ইংরেজি প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কথা শুনতে পাই। ঘটনা শোনার জন্য সরকারি শিক্ষককে আমার কাছে ডাকি। তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন ফোনটি আমি চালাই না। কে বা কারা এই প্রশ্ন ফেসবুকে ছেড়েছে আমি বলতে পারব না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাো হয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ বলেন, শাহনাজ নাসরিন নামের সহকারি শিক্ষিকার ফেসবুক প্রশ্ন ফাঁসের খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে তাকে তিন দিনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে অবশ্যই তাকে শাস্তি আওতায় আনা হবে।

এদিকে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি নিয়ে একাধিক অভিভাবকের সঙ্গে কথা হয়। তারা অভিযোগ করেন, আমরা সারা বছর সন্তানকে স্কুলে, কোচিংয়ে ও বাসায় শিক্ষক দিয়ে পড়িয়ে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করছি। অথচ অনেকে রেডিমেট প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়ে ভালো নম্বর পাচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসই যদি হয়, তবে আমরা কেন এত কষ্ট আর ত্যাগ স্বীকার করে সন্তানকে পড়ালেখা করাবো? প্রশ্ন ফাঁস রোধ ও পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানান অভিভাবকরা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*