
অর্থ নিরাপদে রেখে তা থেকে স্থায়ীভাবে আয় করার একটি নির্ভরযোগ্য উপায় হলো মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র। যারা কম ঝুঁকিতে নিয়মিত মুনাফা পেতে চান, তাদের জন্য ৩ মাস অন্তর মুনাফা প্রদানকারী এই সঞ্চয়পত্র একটি দুর্দান্ত বিকল্প। এটি শুধু মাত্র একটি বিনিয়োগ নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার একটি নিশ্চয়তা।
এই সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ তিন বছর, যেখানে আপনি ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ বা ১০ লাখ টাকা বা তার বেশি বিনিয়োগ করতে পারেন। এটি জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংক, অনুমোদিত বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ডাকঘর থেকে সহজেই ক্রয় করা যায়। মুনাফার হারও যথেষ্ট আকর্ষণীয়—প্রথম বছরে প্রায় ১১%, দ্বিতীয় বছরে ১১.৬৫% এবং তৃতীয় বছরে ১২.৩০% পর্যন্ত।
প্রতি তিন মাস পরপর বিনিয়োগকারী তার প্রাপ্য মুনাফা হাতে পান, যা নিয়মিত নগদ প্রবাহ নিশ্চিত করে। সরকার নির্ধারিত করের আওতায় ৫ লক্ষ টাকার নিচে ৫% এবং এর বেশি হলে ১০% হারে কর কাটা হয়। এতে স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা দুটোই নিশ্চিত।
এই সঞ্চয়পত্রের অন্যতম আকর্ষণ হলো—একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ এবং যুগ্ম নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। নাগরিক সুবিধার অংশ হিসেবে নমিনি নিয়োগের ব্যবস্থাও রয়েছে, যা মৃত্যুজনিত কারণে দ্রুত টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
সরকারি গ্যারান্টি থাকা এই সঞ্চয়পত্র সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত। প্রতিবার মুনাফা নির্দিষ্ট সময়ে হাতে পাওয়া যায় বলে এটি একটি নিরাপদ ও পরিকল্পিত অর্থ ব্যবস্থাপনার পথ দেখায়। বিশেষ করে যারা পেনশন, অবসর বা দীর্ঘমেয়াদি অর্থ পরিকল্পনায় রয়েছেন, তাদের জন্য এটি আদর্শ।
সিদ্ধান্ত হিসেবে বলা যায়, ভবিষ্যতের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপদ আয়ের জন্য এখনই ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ক্রয় করুন। এটি আপনার সঞ্চয়কে শুধু সুরক্ষিতই রাখবে না, বরং নিয়মিত আয়ের মাধ্যমে আপনাকে দিবে আত্মবিশ্বাস ও নির্ভরতা। সেবাটি অনলাইনে কিংবা নিকটস্থ সঞ্চয়পত্র কেন্দ্র থেকে গ্রহণ করা সম্ভব।
Leave a Reply