
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের মূল্যায়ন, সংস্কার, নির্বাচন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জনপ্রিয়তা নিয়ে একটি জরিপ করেছে ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)। সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়।
জরিপ অনুযায়ী, দেশের ৪৮ শতাংশের বেশি মানুষ সিদ্ধান্ত নেননি কোন দলকে ভোট দেবেন। অন্যদিকে কোন দলকে ভোট দেবেন তা বলতে রাজি হয় নি ১৪ দশমিক চার শতাংশ মানুষ। যারা ভোট দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ১২ শতাংশ মানুষ বিএনপিকে, ১০ দশমিক চার শতাংশ মানুষ জামায়াতে ইসলামীকে, সাত দশমিক তিন শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগকে এবং দুই দশমিক আট শতাংশ মানুষ এনসিপিকে ভোট দিতে দিতে চেয়েছেন।
জরিপে দেখা যায়, ২৭ বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের মধ্যে বিএনপির চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ জামায়াতকে ভোট দিতে চায়।
বয়সভেদে দলগুলোর জনসমর্থন নিয়ে যে জরিপ ফলাফল উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে দেখা যায়, ২৭ বছরের নিচে ৯ শতাংশ মানুষ বিএনপিকে, ১২ শতাংশ জামায়াতে ইসলামীকে, সাত শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ এবং চার শতাংশ মানুষ এনসিপিকে ভোট দিতে চায়।
আবার ২৮ থেকে ৩৫ বছরের মানুষের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের জনপ্রিয়তা সমান দেখা গেছে। অর্থাৎ এই বয়সের ১১ শতাংশ মানুষই বিএনপি ও জামায়াতকে ভোট দিতে চায়। তবে ৫০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে বিএনপির জনপ্রিয়তা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। পঞ্চাশোর্ধ ১৬ শতাংশ মানুষ বিএনপি, ৯ শতাংশ মানুষ জামায়াত, ৭ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ এবং চার শতাংশ মানুষের সমর্থন এনসিপির প্রতি।
অন্যদিকে, শিক্ষার স্তরভেদেও রাজনৈতিক দলগুলোর জনসমর্থনের বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা গেছে। গ্রাজুয়েটদের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াত উভয়েরই প্রতিই জনসমর্থন রয়েছে শতকরা ১০ শতাংশ করে। গ্রাজুয়েটদের মধ্যে পাঁচ শতাংশ আওয়ামী লীগ এবং চার শতাংশ লোকের সমর্থন এনসিপির প্রতি।
আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমন মানুষের মধ্যে আবার বিএনপির জনসমর্থন বেশি। এই ক্যাটাগরির ১৪ শতাংশ মানুষের সমর্থন বিএনপির প্রতি, জামায়াতের প্রতি নয় শতাংশ, ৭ শতাংশ আওয়ামী লীগ এবং দুই শতাংশ মানুষের সমর্থন এনসিপির প্রতি।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষ মনে করে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, আর ১৫ শতাংশ মানুষ মনে করে সুষ্ঠু হবে না আগামী নির্বাচন।
Leave a Reply