ব্রেকিং নিউজ: এবার বাতিল হচ্ছে ১০ ধরনের জমির দলিল!

ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা ও জমি জালিয়াতি রোধে ২০২৫ সালের মধ্যেই ১০ ধরনের জমির দলিল বাতিল করতে যাচ্ছে সরকার। ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এবং ২০২৩ সালের ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ অনুসারে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।

সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির সুনির্দিষ্ট সীমারেখা নির্ধারণ, জাল দলিল বন্ধ, অবৈধ দখলদারদের প্রতিরোধ এবং ধর্মীয় ও সংবেদনশীল সম্পত্তির সুরক্ষা এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।

চলতি বছরে যেসব দলিল বাতিল হবে:১. জাল দলিলভিত্তিক জমি:জালিয়াতির মাধ্যমে অর্জিত জমির দলিল বাতিল করে তা পুনরায় খাস খতিয়ানে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।

২. সরকারি খাস জমি:যেসব বন্দোবস্তপ্রাপ্ত ব্যক্তি জমির ব্যবহারের শর্ত লঙ্ঘন করে খাস জমি বিক্রি করেছেন, তাদের দলিলও বাতিল হবে।

৩. অর্পিত সম্পত্তি:ভারতে চলে যাওয়া নাগরিকদের ফেলে যাওয়া জমি অন্যের নামে দলিল করা থাকলে তা বাতিল করে সরকার নিজের দখলে নেবে।

৪. দেবোত্তর ও ওয়াকফ সম্পত্তি:ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে দানকৃত জমি যদি জাল দলিলের মাধ্যমে হস্তান্তর হয়, সেসব দলিলও বাতিল হবে।

৫. অতিরিক্ত জমি বিক্রয়:যারা তাদের প্রকৃত মালিকানার চেয়ে বেশি জমি, বিশেষত ওয়ারিশি জমি বিক্রি করেছেন, তাদের দলিল বাতিল হতে পারে।

৬. দাগ নম্বরের অমিল:এক দাগে জমি কিনে অন্য দাগে দখলে রাখলে সেই দলিল বাতিলের আওতায় আসবে।

৭. অবৈধ হেবা দলিল:অযোগ্য ব্যক্তির নামে বা নিয়মবহির্ভূতভাবে করা হেবা দলিল বাতিল করা হবে।

৮. অবিভক্ত ওয়ারিশি জমি বিক্রি:বাটোয়ারা ছাড়া বা আদালতের রায় ছাড়াই যেসব জমি বিক্রি হয়েছে, তা অবৈধ হিসেবে বাতিল হবে।

এক জমির একাধিক দলিল:একটি জমি যদি একাধিকবার বিক্রি হয়, তবে প্রথম দলিল বৈধ ধরা হবে, পরবর্তীগুলো বাতিল।

পাওয়ার অব অ্যাটর্নির অপব্যবহার:যারা কেবল দেখাশোনার দায়িত্ব পেয়ে জমি বিক্রি করেছেন, তাদের দলিলও বাতিল করা হবে।

জমি কেনাবেচার আগে সতর্ক থাকুনভূমি মন্ত্রণালয় থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, জমি কেনার আগে অবশ্যই নিচের বিষয়গুলো যাচাই করতে হবে:

খতিয়ান

নামজারি

দখল

আদালতের রায়

বাটোয়ারা দলিল

চৌহদ্দি

মালিকানা প্রমাণ

এই সতর্কতা অনুসরণ না করলে ভবিষ্যতে জটিলতায় পড়তে হতে পারে।

ভূমি ব্যবস্থাপনায় আসছে নতুন যুগসরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশে ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি, জাল দলিল ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ারও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*