জমির নামজারি নিয়ে বড় সুখবর, এবার যে নির্দেশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের!

ভূমি সেবাকে স্বচ্ছ, জনবান্ধব এবং হয়রানিমুক্ত করতে একের পর এক উদ্যোগ নিচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। এরই অংশ হিসেবে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিশেষ কারণ ছাড়া কোনও নামজারি আবেদন ২৮ দিনের বেশি পেন্ডিং রাখা যাবে না।

সোমবার (৪ আগস্ট) তথ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো এক সরকারি বিবরণীতে জানানো হয়, ইতোমধ্যে দেশের সকল নামজারি পেন্ডিং নিষ্পত্তির জন্য এক্সেল তালিকা অনুযায়ী নাগরিকদের ফোন করে দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এই কার্যক্রম তদারকি করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।

এক প্ল্যাটফর্মে সব সেবাতথ্য বিবরণীতে আরও জানানো হয়, ‘ল্যান্ড সিঙ্গেল গেটওয়ে’ তৈরির মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ডিজিটাল সেবাগুলোকে একটি প্ল্যাটফর্মে আনা হচ্ছে। এর ফলে নাগরিকরা এক জায়গা থেকেই খতিয়ান, নামজারি, খাজনা পরিশোধসহ সকল ভূমি সেবা পাবেন।

গুগল আর্থে জমির অবস্থানজিপিএস ও জিও ফেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিকরা গুগল আর্থে নিজেদের জমি দেখে নিতে পারবেন। এতে জমির সঠিক অবস্থান ও মালিকানা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যাবে। পরবর্তী ধাপে জমির মালিকানার সঙ্গে এই ম্যাপিং যুক্ত করে দাখিলা, মামলা এবং রাজস্ব সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংযুক্ত করা হবে।

ঘরে বসেই খতিয়ান-দাখিলাএখন নিজের মোবাইল নম্বর ও এনআইডি নম্বর দিয়ে অনলাইনে নামজারির আবেদন, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ ও সার্টিফায়েড কপি সংগ্রহ করা যাচ্ছে। চাইলেই পাওয়া যাচ্ছে কিউআর কোডসমৃদ্ধ দাখিলা, যা ম্যানুয়াল কপির মতোই বৈধ এবং সর্বত্র গ্রহণযোগ্য।

প্রবাসীদের জন্য সুবিধাবিদেশে অবস্থানকারীরা ০৯৬১২৩১৬১২২ নম্বরে ফোন করে অথবা ‘ই-খতিয়ান’ অ্যাপ ও ভূমিসেবা পোর্টাল ব্যবহার করে খতিয়ান ও মৌজা ম্যাপের সত্যায়িত কপি সংগ্রহ করতে পারছেন নিজ ঠিকানায়।

ভূমি অধিগ্রহণেও ডিজিটাল সেবাভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধ এখন আইবাস সিস্টেমের মাধ্যমে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সফটওয়্যার আপডেট করে তা জনসাধারণের পরীক্ষামূলক ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে ১ ডিসেম্বর থেকে।

সেবা সপ্তাহ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানভূমির জটিলতা রয়েছে এমন নাগরিকদের জন্য ভূমি সেবা সপ্তাহ, ভূমি মেলা ও অফিসে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

স্বচ্ছতা ও সাশ্রয় নিশ্চিতসেবার প্রতিটি ধাপ ডিজিটাল হওয়ায় সময়সাশ্রয়, ব্যয় হ্রাস এবং দুর্নীতিমুক্ত ভূমি সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে। ড্যাশবোর্ডে সরাসরি সকল অনলাইন লেনদেনের হিসাব দেখা যাচ্ছে, যা স্বচ্ছতা বাড়িয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*