
তারপর দীর্ঘদিন আর যোগাযোগ করেননি ট্রাম্প। আদালতকে স্টর্মি জানান, এ সময় কঠিন পরিস্থিতি পার করতে হয়েছে তাকে। নিজের পরিচিত মহলে তিনি এ ঘটনা জানিয়েছিলেন এবং তাদের প্রতিক্রিয়া ছিল খুবই নেতিবাচক। তিনি প্রায় একঘরে হয়ে পড়েছিলেন।
পরে ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে স্টর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করেন ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন এবং এ ইস্যুতে ‘মুখ বন্ধ রাখতে’ তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার প্রদানের প্রস্তাব দেন। এ প্রসঙ্গে আদালতের সাক্ষ্যে স্টর্মি বলেন, প্রস্তাব পাওয়ার পর তিনি তাতে আপত্তি করেননি কারণ তার মনে হয়েছিল যে যদি নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন— তাহলে এই অর্থ আর পাওয়া যাবে না।
কিন্তু নির্বাচনের পর ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক সরব হয়ে ওঠেন তিনি। তার বিরুদ্ধে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপনেরও অভিযোগ আনেন।
ট্রাম্পের আইনজীবীরা এ সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তিনি ট্রাম্পকে ঘৃণা করেন এবং ওই ঘটনা থেকে আরও অর্থ উপার্জনের পরিকল্পনা ছিল তার।
স্টর্মি ড্যানিয়েল যখন কথা বলছিলেন, সে সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্পও। গোটা সময় তাকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখা গেছে। তবে আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা এবং বিচার যদি সুষ্ঠু হয়— তাহলে বেকসুর খালাস পাবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও তিনটি ফৌজদারি মামলা আছে। সেগুলোর তুলনায় এটিকে কম গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হলেও ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে কেবল এ মামলারই রায় আসতে পারে।
অন্য যে মামলাগুলোতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলো হল, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরাজয়ের পর ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টা এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে সরার পর রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথি অসাবধানে সংরক্ষণ করা সংক্রান্ত। এই তিনটি মামলাতেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প।
Leave a Reply