
মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম সরকারকে নিজ গ্রাম থেকে আটক করে একটি কালো নোহা মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি স্থানীয় আকবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পীর কাশিমপুর গ্রামের একটি মসজিদের কাছ থেকে তাঁকে আটকের অভিযোগ করেছেন পরিবার ও দলের নেতারা।
বিএনপি নেতা শাহ আলমের ছেলে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আজিজ সরকার মুন্না বলেন, ‘নামাজে যাওয়ার সময় পীর কাশিমপুর গুলশানে চিশতিয়া মসজিদের সামনে থেকে বাবাকে তুলে নেওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা উৎকণ্ঠায় ছিলাম। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। থানায় খোঁজখবর নিয়েও কোনো তথ্য পাইনি। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাবা ডিবি অফিস থেকে একজনের মোবাইলে ফোন করে জানান, ডিবি পুলিশ তাকে আটক করেছে।’
মুন্না বলেন, ‘আমার বাবাকে সম্প্রতি এলাকার ট্রিপল মার্ডার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর কথা শুনছি। এ মামলার এজাহারে ২৫ নম্বরে থাকা যে শাহ আলম আছেন তাঁর বয়স ৪৫ ও পিতা অজ্ঞাত উল্লেখ আছে।’
মুন্নার ভাষ্য, ‘আমার বড় বোনের বয়স ৪০। আমার বাবা চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর বয়স ও বিস্তারিত পরিচয় এলাকার সবাই জানেন। তিনটা হত্যা করে কারও এলাকায় অবস্থানের কথা নয়। এছাড়া গ্রামে ৮ থেকে ১০ জন শাহ আলম রয়েছেন।’ তিনি তাঁর বাবার মুক্তি দাবি করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, ‘শাহ আলম সরকার উপজেলা বিএনপির একজন প্রবীন নেতা, যিনি চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁকে কেন আটক করা হয়েছে জানি না। অবাক লাগে ফ্যাসিস্ট পতনের পরও আমরা নিরাপদ না। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’ তিনি শাহ আলমের মুক্তির দাবিসহ তাঁকে আটকের সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান।
কুমিল্লা ডিবি পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া শাহ আলমকে আটক করা হয়নি। মঙ্গলবার এ বিষয়ে বিস্তারিত গণমাধ্যমে জানানো হবে।’
Leave a Reply