
বর্তমানে কোলন ক্যান্সার বা বৃহদান্ত্রের ক্যান্সার শুধু প্রবীণদের নয়, বরং ৩০-৪০ বছরের তরুণ-তরুণীদের মাঝেও এই রোগ ধরা পড়ছে বাড়তি হারে। চিকিৎসা গবেষণায় বলা হচ্ছে, জীবনধারার পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাসে গড়বড় এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তাই এই অকাল বিপদের অন্যতম কারণ।
কী বলছে গবেষণা?
সম্প্রতি আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির গবেষণায় দেখা গেছে—
১৯৯০-এর পর জন্ম নেওয়া প্রজন্মের কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দ্বিগুণেরও বেশি।
প্রতি বছর ৩-৪ শতাংশ হারে বাড়ছে তরুণদের মধ্যে কোলন ক্যান্সারের হার।
কেন বাড়ছে এই ঝুঁকি?
১. ফাস্টফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার: উচ্চমাত্রার ফ্যাট, রেড মিট, কম ফাইবার—এসব খাবার কোলনে প্রদাহ সৃষ্টি করে।
২. অ্যালকোহল ও ধূমপান: তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলা এই অভ্যাস ক্যান্সারের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে।
৩. দীর্ঘসময় বসে থাকা ও শরীরচর্চার অভাব: রক্ত চলাচল কমে যায়, হজমতন্ত্র ধীর হয়ে পড়ে।
৪. গুটিকয়েক ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও ঝুঁকি থাকতে পারে।
কী কী লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
দীর্ঘদিন পেট খারাপ, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া
পায়খানায় রক্ত মেশানো
হঠাৎ করেই ওজন কমে যাওয়া
ক্লান্তি ও রক্তশূন্যতা
পেটে গাঁট অনুভব হওয়া বা ব্যথা
কীভাবে রক্ষা পাওয়া যায়?
খাদ্য তালিকায় ফাইবার, শাকসবজি, ফলমূল বাড়ান
রেড মিট ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কমান
নিয়মিত হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করুন
ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলুন
৫০ বছরের আগে যদি উপসর্গ দেখা দেয়, দ্রুত স্ক্রিনিং করুন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “বর্তমান প্রজন্মের জীবনধারা পরিবর্তন না হলে, আগামী দশকে ২০-৪০ বছর বয়সীদের কোলন ক্যান্সারের হার ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।”
তরুণরাও এখন আর ক্যান্সার ঝুঁকির বাইরে নন। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন ও সময়মতো সতর্কতা আপনাকে বাঁচাতে পারে এক ভয়ংকর বিপদ থেকে।
Leave a Reply