
বাংলাদেশ সরকারের নেয়া গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—বেকারদের জন্য সহজ শর্তে জামানতবিহীন লোন প্রদান। এই প্রকল্পটি দেশের বেকার সমস্যা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশ কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে এই লোন প্রদান করা হচ্ছে। এই লোন পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বিদেশি নাগরিকরা এই সুবিধার আওতায় পড়েন না।
কে কে এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন?
বয়স হতে হবে কমপক্ষে ১৮ বছর
হতে হবে বেকার বা অর্ধবেকার (অর্থাৎ, চাকরি করেন না, তবে টুকটাক আয় করেন এমন)
আপনি বা আপনার জামিনদারকে লোন গ্রহণকারী শাখার এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে
লোনের পরিমাণ, মেয়াদ ও সুদের হার
সর্বোচ্চ লোন পরিমাণ: ২ লক্ষ টাকা
মাসিক কিস্তি (উদাহরণ): ২,০৭৬ টাকা (২ লক্ষ টাকা, ১০ বছরের মেয়াদ ধরে)
সুদের হার: সাধারণত সিঙ্গেল ডিজিট, অর্থাৎ ৯% এর কম (লোনের পরিমাণ ও মেয়াদের ওপর নির্ভরশীল)
কোন ব্যবসার জন্য লোন নেবেন?
যেহেতু এটি একটি উদ্যোক্তা লোন, তাই আপনাকে অবশ্যই কোনো ব্যবসার উদ্দেশ্যে লোনটি নিতে হবে। ব্যাংকের ওয়েবসাইটে অনুমোদিত ব্যবসার তালিকা রয়েছে, যেমন:
কৃষি
হস্তশিল্প
ক্ষুদ্র ব্যবসা
অনলাইন ভিত্তিক উদ্যোগ ইত্যাদি
শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে?
এই লোন পেতে উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা আবশ্যক নয়। আপনি যদি সাধারণভাবে ডকুমেন্ট পড়ে বুঝে সিগনেচার করতে পারেন, তাহলেই যথেষ্ট।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
ঠিকানা প্রমাণ (ভোটার আইডির ঠিকানা যথেষ্ট)
ব্যবসার সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা
জামিনদারের তথ্য (যদি প্রযোজ্য হয়)
আবেদনের পদ্ধতি
১. নিকটস্থ বাংলাদেশ কর্মসংস্থান ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করুন
২. আবেদন ফর্ম পূরণ করুন
৩. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে জমা দিন
৪. যাচাই-বাছাই শেষে লোন অনুমোদন হলে টাকা ট্রান্সফার করা হবে
কে কে এই লোন পাবেন না?
বিদেশি নাগরিকরা
লোন ডিফল্টাররা (যারা পূর্বে অন্য ব্যাংকে লোন নিয়ে ফেরত দেননি)
বিশেষ পরামর্শ
নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করুন, ভবিষ্যতে আরও বড় লোন পেতে সুবিধা হবে
ডিফল্ট বা দেরি করলে জরিমানাসহ লোন বাতিল হতে পারে
হয়রানির শিকার হলে ৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ করতে পারেন
এই লোন প্রকল্পের মাধ্যমে হাজারো বেকার তরুণ-তরুণী আত্মকর্মসংস্থানে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারছেন, যা দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক একটি দিক।
Leave a Reply