এবারই প্রথম ঘোড়ায় চড়ে শট দিয়েছি

পৃথিবীটাকে ঈগল পাখির চোখে দেখার মতো এমন সুযোগ খুব কম মানুষেরই হয়। যার মধ্যে অন্যতম একজন মডেল-অভিনেত্রী ও শিশুদের জীবনমান উন্নয়নকর্মী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। এই ঈগলকন্যার ঢাকা-কলকাতা তো বটেই, আফ্রিকার জীবন সম্পর্কেও তার লেখার মাধ্যমে বেশিরভাগ মানুষ জানেন।

সম্প্রতি এই অভিনেত্রী অন্যরকম জীবন কাটিয়ে এলেন নেত্রকোনার সুসং দুর্গাপুর এলাকায়। যেখানে তিনি খুঁজে পেয়েছেন মোবাইল ফোন আর টেলিভিশনহীন ভিন্ন জীবনের তল। কাছ থেকে দেখেছেন পাহাড়ের ঝর্ণা ধরে বয়েচলা ঝিরি আর গারো-হাজং সম্প্রদায়ের নেটওয়ার্কবিহীন সকাল-সন্ধ্যা।

গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজল রেখা’ ছবির সুবাদে এই অভিনেত্রীর এমন অভিজ্ঞতা। যিনি এই ছবির মাধ্যমে প্রথমবার অভিনয় করেছেন ‘ভিলেন’ চরিত্রে! প্রায় ৮ মাস ধরে চলা ছবিটির ক্যামেরার কাজ শেষ হলো ৫ অক্টোবর।

মিথিলা বলেন, প্রায় ৮ মাস ধরে কাজটি হয়েছে। আর কাজ শেষ হয়েছে বুধবার। ৬ মাস আগে প্রথম লটে অংশ নিয়েছি। অভিজ্ঞতা বলতে গেলে অসাধারণ! এমন সুন্দর লোকেশন ও নেটওয়ার্কবিহীন জীবন আগে যাপন করিনি। সত্যিই জীবন সুন্দর। এখানে কাছ থেকে দেখেছি পাহাড়ের ঝরনা ধরে বয়ে চলা ঝিরিধারা আর গারো-হাজং সম্প্রদায়ের নেটওয়ার্কবিহীন সকাল-সন্ধ্যা। খুবই অপরূপ পরিবেশে শুট করেছি। অনেক কষ্টও হয়েছে। পাহাড়ে পিচ্ছিল পথে ওঠা-নামা কষ্টকর ছিল।

তিনি বলেন, এবারই প্রথম ঘোড়ায় চড়ে শট দিয়েছি। ভালোই ভয় লেগেছিল। এই চরিত্রটি নিয়ে মজার বিষয় রয়েছে। চরিত্রটির জন্য একটা দৃশ্যে খুব কষ্ট হয়েছে। যেখানে দেখা যাবে, আমাকে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছিল। গর্ত করে কোমরের ওপর পর্যন্ত মাটিচাপা! দম বন্ধ হয়ে আসছিল। শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায়। এমন কিছু দৃশ্যে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। আমরা যেখানে ছিলাম হাজং ও গারোদের এলাকা সেটা। সেখানেই শুটিং সেট, সেখানেই থাকা। তারাও আমাদের অংশ ছিল। তাদের বাড়িতে যেতাম, খেতাম, গল্প করতাম। তো ওই জীবনটাও দেখা হলো।

মিথিলা বলেন, সেলিম ভাইয়ের সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ। আর এমন চরিত্রেও প্রথম। ফলে এই কাজটি আমার জন্য যেমন আগ্রহের তেমন ভয়েরও ছিল। তবে শুটে আমি বরাবরই সচেতন ছিলাম। জানি না আসলে কতটা হয়েছে। অন্যদিকে শরিফুল রাজের সঙ্গেও প্রথম কাজ। ও খুব সহজ, ঠাণ্ডা প্রকৃতির। আসলে সবাই মিলে দারুণ একটা টিম ছিলাম। খুব আনন্দ করে কাজটা করেছি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*