২০ শিক্ষার্থীকে বাঁচিয়ে নিজে প্রাণ হারানো শিক্ষিকা মেহেরীন তারেক রহমানের নিকটতম আত্মীয়!

রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ২০ শিক্ষার্থীকে বাঁচিয়ে নিজেই প্রাণ হারিয়েছেন শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরী। সোমবার (২১ জুলাই) জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। নিহত শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাজিন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ড. তৌহিদুর রহমান আউয়াল।

জানা গেছে, মেহেরীন চৌধুরী প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের চাচাতো ভাই মহিদুর রহমান চৌধুরীর মেয়ে। তিনি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কো-অর্ডিনেটর ছিলেন।

এ বিষয়ে ড. তৌহিদুর রহমান আউয়াল বলেন, নিহত শিক্ষিকা মেহেরীন তারেক রহমানের বোন। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজের বোনকে আলাদা করে দেখেননি তারেক রহমান। তিনি তার জন্য আলাদা করে স্পেশাল কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলেননি। তিনি সবার জন্যই। তিনি সবার জন্যই ব্যাকুল। তার নির্দেশনা অনুযায়ী, আমরা আহতদের জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছি, আমি ডাক্তার, আমার পরিচিত অনেক ডাক্তার এখানে আছে আমরা তারেক রহমানের নির্দেশে ভলেন্টিয়ার হিসেবে কাজ করছি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনার মুহূর্তে দ্রুত শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম থেকে বের করে আনেন সেই শিক্ষিকা। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের বের করে দিয়ে নিজেই যথাসময়ে বের হতে পারেননি। উদ্ধার অভিযানে থাকা এক সদস্যও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষিকা মেহেরীনকে (৪৬) উদ্ধার করা এমনই একজন মাইলস্টোন ছাত্রী মেহেরিন (১২)। তার বাবা সুমন নিশ্চিত করে বলেন, ম্যাডাম অনেক ভালো ছিল। সেনাবাহিনী আমাদের বলেছে, ‘শিক্ষিকার জন্য অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী বেঁচে গেছেন।’

উদ্ধার হওয়া চতুর্থ শ্রেণীপড়ুয়া ছোঁয়ার মামা জানান, খালি চুল পরে থাকতে দেখেছি। অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। পরে জানতে পারি, এক ম্যাডাম ছোঁয়াকে উদ্ধার করে বাইরে বের করে দিয়েছে। বর্তমানে সে পিজি হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

ছোঁয়ার মামার ভাষ্যমতে, খালি চুল পরে আছে ওইদিকে, দেখেই অজ্ঞান হয়ে গেছি। পরে দুজন আর্মি আমাকে টেনে নিয়ে ভিতর থেকে বাইরে নিয়েছে। পরে আবার এসে ২ ঘণ্টা খুঁজেছি, কিন্তু পাইনি। পরে এক ম্যাডাম নাকি ছোঁয়াকে, ও (ছোঁয়া) ইনজুরি হয়েছে; ওরে পিজি হাসপাতালে নিয়ে গেছে। পরে এক শিক্ষক ফোন করে বলে আপনার বাচ্চাকে আমরা এখানে নিয়ে আসছি। পরে ও (ছোঁয়া) বলতেছে, মামা আমি ক্যাডেট কলেজে ক্যামনে পড়মু।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*