
কাজ করে। আমার এ ব্যবসায় ৫০ জন নিযুক্ত আছেন। যাদের একজন ডিউটিতে থাকা অবস্থায় আপার অভিযোগ গুরুত্ব দেননি। আর আমিও মালিক হিসেবে বিষয়টি জানি না। তিনি আরও বলেন, এখন কোম্পানি যেহেতু আমার তাহলে আমার স্টাফ ভুল করলে সেটার দায়ভারও আমার উপর বর্তায়। অভিযোগকারী একজন শিক্ষিত মহিলা, একজন অ্যাডভোকেট। তিনি ভোক্তা অধিকারে আমার নামে অভিযোগ করেন। এর পরে ভোক্তা অধিকার থেকে শুনানির তারিখ জানিয়ে আমাকে চিঠি দেয়া হয়। চিঠিটি আমার গুলশান ব্রাঞ্চের সেলসম্যানের হাতে দেয়া হয়, কিন্তু সে বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে না পেরে সাধারণ চিঠি ভেবে রেখে দেয়। আমাকেও এই বিষয়টি জানানো হয়নি।
ভোক্তা অধিকারে যোগাযোগ না করার কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, আমি এবিষয়ে যেহেতু অবগতই ছিলাম না তাহলে আমি শুনানিতে যেতাম কিভাবে। আমি যদি জানতাম তবে অবশ্যই আমি যেতাম না হয় আমার কোন স্টাফকে সেখানে পাঠাতাম। আমরা তো কেউ আইনের বাইরে না। ভোক্তা অধিকার থেকে চিঠি এসেছে মানে আমাকে সেই শুনানিতে যেতেই হবে। আমি তো কোন অনৈতিক কাজ করছি না। এটা খুব সাধারণ ঘটনা, এমনটা হতেই পারে। এটি সমাধান করতে হবে। তনি বলেন, ভোক্তা অধিকার যখন শোরুমে এসেছে তখন সেলসম্যান ঘাবড়িয়ে যায়। আমি ওইদিন ছিলাম রাজশাহী। তারা কোন ডকুমেন্ট পায়নি, সেকারণে তারা শোরুম সিলগালা করে বলে গেছে যে আপনারা পরবর্তীতে যোগাযোগ করে এ বিষয়টি সমাধান করেন। তিনি আরও বলেন, এই ধরণের পরিস্থিতির শিকার আগে কখনও হয়নি, সেকারণে এটা আমার জন্যেও একটি বড় শিক্ষা। এখান থেকে আমারও অনেক কিছু শেখার আছে। আমি তো কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা করতে আসি নাই। আমরা করতে করতে শিখছি। সেক্ষেত্রে আমাদের ভুল হতেই পারে। ক্ষোভ প্রকাশ করে তনি বলেন, ভোক্তা অধিকারের কাউকে কি বলতে শুনছেন আমি গুলিস্তানের ড্রেস পাকিস্তানের বলে বিক্রি করেছি। অ্যাডভোকেট লুবনাও তার অভিযোগে এমন কিছুই বলেন নাই। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেছেন যে সেলাই দেখে আমার সন্দেহ হয়েছে যে এটি অরিজিনাল পাকিস্তানি না। এখন সব ক্রেতাকে তো খুশি করা যায় না। ওনার মনে হতেই পারে। কিন্তু তাই বলে গুলিস্তানের জামা কথাটা কোথা থেকে আসলো আমি জানি না। ভিউ বাড়ানোর জন্যে রসালো নিউজ করতে যেয়ে এমন করা টা কতটুকু যৌক্তিক তাও আমার বোধগম্য নয়।
Leave a Reply