
রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে ৪৩ হাজার পৃষ্ঠার আবেদন করেও প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি নিবন্ধনের জন্য ৪৩ হাজার ৩১৬ পাতার ডকুমেন্টস জমা দিয়েছিল।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রথম ধাপে ৬২টি দলকে চিঠি দেওয়া হবে। পরবর্তী ধাপে অন্যান্য দলগুলোকেও চিঠি দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ১৫ দিন সময়ের মধ্যে যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে, তা পূরণ করতে হবে।
এর আগে, নিবন্ধন শর্ত পূরণ করতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন, ট্রাকে করে সেগুলো নির্বাচন ভবনে জমা দিয়েছিল এনসিপি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি দলটি। ফলে এনসিপিসহ বাকি দলগুলোকে ১৫ দিন সময় দিয়ে ঘাটতি পূরণে চিঠি দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেতে যে শর্ত পূরণ করতে হয়, তার জন্য যত কাগজপত্র প্রয়োজন তা ট্রাকে করে নিয়ে এসে ইসিতে জমা দিয়েছি। আমাদের প্রতিনিধি দল ভেতরে গিয়ে আবেদনের মূল কাগজপত্র জমা দিয়েছে।
নতুন দলের ক্ষেত্রে ইসির নিবন্ধনের শর্ত হলো-
১. দলটির একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকতে হবে।
২. কার্যকর কমিটি থাকতে হবে কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায়।
৩. সদস্য হিসেবে অন্তত ১০০টি উপজেলা কিংবা মেট্রোপলিটন থানার কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থনের নথি দেখাতে হবে।
৪. দলীয় প্যাডে দরখাস্তের সঙ্গে দলের গঠনতন্ত্র, নির্বাচনী ইশতেহার (যদি থাকে), দলের বিধিমালা (যদি থাকে), দলের লোগো ও দলীয় পতাকার ছবি, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সব সদস্যের নামের তালিকা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সর্বশেষ স্থিতি জমা দিতে হবে।
আবেদন পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন তা যাচাই-বাছাই শুরু করবে। নিবন্ধন শর্ত পূরণ করতে পারলে দলীয় প্রতীকসহ নিবন্ধন সনদ দেওয়া হবে। বর্তমানে বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫১টি।
Leave a Reply