
ভারতের রাজধানী দিল্লির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওয়েলকাম এলাকায় শনিবার (১২ জুলাই) সকালে চারতলা একটি ভবন ধসে পড়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, শনিবার (১২ জুলাই) সকাল ৭টা ৫ মিনিটে ভবন ধসের খবর পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকল বাহিনীর সাতটি ইউনিটসহ উদ্ধারকারী দল।
পুলিশ জানায়, সকাল ৭টার দিকে ভবন ধসের খবর পেয়েছি। উদ্ধার তৎপরতায় একাধিক দল কাজ করছে।
এখন পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কমপক্ষে তিনজন এখনো আটকা আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে । উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য , এর আগে চলতি বছরেই, শনিবার (১৯ এপ্রিল) ভোর ৩টার দিকে ভারতের দিল্লির মুস্তাফাবাদে একটি চারতলা ভবন ধসে পড়ে। সে সময় ওই ঘটনায় কমপক্ষে ১১জন নিহত হলেও, আহত হয় আরও অনেকে।
এবি
ট্যাগ :
সম্পর্কিত:

কিউবার প্রেসিডেন্টের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ-কানেলের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (১২ জুলাই) মার্কিন গণমাধ্যম এপি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের হাভানায় রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন-পীড়নের অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আলভারো লোপেজ মিয়েরা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাজারো আলবার্তো আলভারেজ কাসাসকেও ব্ল্যাকলিস্ট করা হয়েছে।এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন সিনেটর ও পররাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মার্কো রুবিও অভিযোগ করেন, কিউবা সরকার দুর্নীতিতে জড়িত, বিশেষ করে ২০২১ সালের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও হাভানার সংঘর্ষের ঘটনায়।তিনি লিখেন, কিউবান সরকারের প্রতিবাদকারীদের উপর নির্মম দমন-পীড়নের চার বছর পূর্তিতে, যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তর কিউবান শাসকদের ও তাদের সহযোগীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি ও তাদের জীবিত থাকার প্রমাণ দাবি করছে।কিউবান কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে কিউবার অর্থনৈতিক সংকটকে কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের অস্থিরতা উসকে দেয়, যাতে সরকার পতনের পরিবেশ তৈরি হয়।এর আগে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র ৩ জন কিউবান বিচারক ও এক প্রসিকিউটরের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়, যাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী ও অধিকারকর্মী লুইস রোবলেসকে কারাদণ্ডে ভূমিকা রাখার অভিযোগ রয়েছে। ২০২৫ সালে প্রায় পাঁচ বছর কারাভোগের পর রোবলেস মুক্তি পান।প্রসঙ্গত, ১৯৬০-এর দশক থেকে কিউবা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওবামা প্রশাসনের কিউবার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা উল্টে দেন এবং চলতি বছর কিউবাকে আবারও সন্ত্রাসে মদদদাতা রাষ্ট্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন।কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের “সাম্রাজ্যবাদী ও হস্তক্ষেপমূলক” নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অঙ্গীকার করেছে। রাশিয়া ও চীন যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করেছে। মে মাসে কিউবার রাষ্ট্রীয় পত্রিকা গ্রানমা-তে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ কিউবার বিরুদ্ধে দেওয়া ‘অবৈধ’ অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।এমআর-২

মিয়ানমারে বৌদ্ধ মঠে জান্তার বিমান হামলা, নিহত ২০
মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় স্যাগাইংয়ের একটি মঠে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় ২০ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে বলে শনিবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন সামরিক জান্তা-বিরোধী এক যোদ্ধা ও স্থানীয় একজন বাসিন্দা।২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী উৎখাত করার পর থেকেই দেশটি গৃহযুদ্ধে জর্জরিত। দীর্ঘ এই সংঘাতে দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় স্যাগাইং অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। সেখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে প্রায়ই বিমান হামলা পরিচালনা করছে জান্তা বাহিনী।স্যাগাইংয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জান্তা-বিরোধী যোদ্ধা জানান, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে স্যাগাইংয়ের লিন তা লু গ্রামের একটি বৌদ্ধ মঠে অবস্থান করা বাস্তুচ্যুত লোকজনকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে সামরিক জান্তা। এএফপিকে তিনি জানান, হামলায় তিন শিশুসহ কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া দুজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।জান্তা-বিরোধী ওই যোদ্ধা বলেন, লোকজন বৌদ্ধ মঠকে নিরাপদ ভেবে সেখানে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু তাদের ওপর বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলার বিষয়ে মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলেও জান্তা বাহিনীর মুখপাত্র জ্য মিন তুন তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে এএফপি।সামরিক বাহিনীর হামলায় মঠের একটি হল পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে বলে স্থানীয় এক বাসিন্দা নিশ্চিত করেছেন। তিনি ভোরের দিকে কয়েকজনের মরদেহ গাড়িতে তুলে নিয়ে যেতে দেখেছেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হামলায় নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করার কাজে সহায়তা করার জন্য তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছবি তুলছিলেন। এ সময় তিনি সেখানে ২২ জনের মরদেহ গণনা করেন বলে জানিয়েছেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বাসিন্দা বলেন, ‘‘অনেকের মাথায় আঘাতের ক্ষত রয়েছে। এছাড়া অনেকের মরদেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। এই দৃশ্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক।এমআর-২

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে ৫০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে: বাকের গালিবাফ
তেলআবিব ও তেহরানের সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরাইলের কমপক্ষে ৫০০ জন নিহত হয়েছে। এমনটা দাবি করেছেন ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাকের গালিবাফ। ইরানের আইআরআইবি-১ টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ বাকের গালিবাফ জানান, ‘ইসরাইলের নিরাপত্তা গবেষণা কেন্দ্র জানিয়েছে, তাদের আহতের সংখ্যা তিন হাজার ৫২০ জন। এই হিসাব অনুযায়ী কমপক্ষে ৫০০ জন নিহত হওয়ার কথা। প্রকৃতপক্ষে ইসরাইলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সরকারিভাবে জানানো সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি ছিল। ’যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপট নিয়ে ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার বলেন, ইসরাইলের সাম্প্রতিক সামরিক আগ্রাসন বন্ধ হয়েছে মূলত তাদের ব্যর্থতার কারণে, কোনোরকম নমনীয় মনোভাবের কারণে নয়। গালিবাফ জোর দিয়ে বলেন, স্থল ও আকাশে ইরানের নিয়ন্ত্রণই ছিল ইসরাইলের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ। তার ভাষায়, ‘আমরা ইসরাইলের সামরিক ও প্রতিরক্ষা কেন্দ্রগুলো অকার্যকর করে দিয়েছি। ’তিনি জানান, যুদ্ধের শেষদিকে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্ভুলতার হার ছিল ৯০ শতাংশেরও বেশি, যার ফলে ইসরাইলের প্রধান সামরিক ও বিমান প্রতিরক্ষা স্থাপনাগুলো অচল হয়ে পড়ে।গালিবাফ দাবি করেন, ইরানের লক্ষ্যবস্তুর ওপর ছিল পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ—যার ফলে ইসরাইল যুদ্ধবিরতির পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়। তার কথায়, ইরান কেবল ইসরাইলের বিরুদ্ধেই লড়েনি, বরং মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো ও পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়েছে।এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের বিরুদ্ধে হামলার জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যুদ্ধকালীন আলোচনার ভেতরে হামলা চালানো যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমুখী নীতিরই বহিঃপ্রকাশ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনার প্রসঙ্গে কালিবাফ বলেন, যখন আলোচনা চলছিল তখনই আমেরিকা ইরানে হামলা চালিয়ে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য প্রকাশ করেছে।এমআর-২

পরিবারের দাবি মেনে ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলাল ইরান
ইরানে এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে পরিবারের ইচ্ছায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে জনসমক্ষে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। শনিবার (১২ জুলাই) এই ফাঁসি কার্যকর করা হয়। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।ইরানের আদালতবিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিজান অনলাইন জানায়, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই তরুণীর পরিবার উত্তরপূর্বাঞ্চলের শহর বুকানের বাসিন্দা। তারা পুরো বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং তারাই ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝোলানোর অনুরোধ করেছিল। পরবর্তীতে আদালত তাদের অনুরোধ গ্রহণ করে।ইরানের প্রাদেশিক প্রধান বিচারপতি নাসের আতাবাতি সংবাদমাধ্যম মিজানকে জানান, সাধারণ মানুষের মামলাটির প্রতি নজর থাকায়, এটিতে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল।গত মার্চে ওই ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন নিম্ন আদালত। এরপর ইরানের সর্বোচ্চ আদালত দণ্ড বহাল রাখলে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।ইরানে সাধারণত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। বিশেষ করে যেসব ঘটনা বেশি আলোচিত হয় সেগুলোর দণ্ড সবার সামনে কার্যকর হয়।ইরানে ধর্ষণ এবং হত্যা মৃত্যদণ্ডযোগ্য অপরাধ। বিশ্বে চীনের পর ইরানে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।এমআর-২

দক্ষিণ আফ্রিকার মল অফ আফ্রিকা যেন বাস্তব এক স্বর্গরাজ্য
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ শহরের মিডরেন্ডে অবস্থিত Mall of Africa দেশটির অন্যতম বৃহৎ এবং বিলাসবহুল শপিং মল। ২০১৬ সালের এপ্রিলে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা এই মলটি প্রায় ১৩০,০০০ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে বিস্তৃত, যা একে আফ্রিকার বৃহত্তম একক-পর্যায়ের শপিং মলে পরিণত করেছে।Mall of Africa-তে রয়েছে ৩০০-র বেশি আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় ব্র্যান্ডের দোকান। Versace, Armani Exchange, H&M, Zara, Cotton On, Woolworths এবং Truworths-এর মতো বিখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো এখানে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকায় তাদের ফ্ল্যাগশিপ স্টোর চালু করে। শুধু কেনাকাটার জন্যই নয়, এই মলটি একটি সম্পূর্ণ লাইফস্টাইল গন্তব্যস্থল—খাবার, বিনোদন, আরামদায়ক পরিবেশ এবং পরিবারের জন্য সময় কাটানোর দারুণ একটি জায়গা।মলের স্থাপত্যশৈলীও চোখে পড়ার মতো। আফ্রিকার প্রাকৃতিক উপাদান এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের অনুপ্রেরণায় নকশা করা এই মলটির অভ্যন্তর ভীষণ আধুনিক ও মনোরম। রয়েছে প্রশস্ত ও আলো-বাতাসপূর্ণ গ্যালারিগুলো, মনোরম ফোয়ারা, নামাজ পড়ার জন্য মনোরম মসজিদ, শিশুদের খেলার স্থান এবং বসার আরামদায়ক জায়গা।এখানে একটি সুবিশাল ফুডকোর্ট রয়েছে, যেখানে আফ্রিকান, এশিয়ান, ইউরোপিয়ান এবং হালাল খাবারের অনেক অপশন পাওয়া যায়। এছাড়া IMAX সিনেমা থিয়েটারসহ নানা ধরনের বিনোদনের সুযোগও রয়েছে।যারা দক্ষিণ আফ্রিকায় ভ্রমণ করতে যাচ্ছেন বা দেশটিতে অবস্থান করছেন, তাদের জন্য Mall of Africa নিঃসন্দেহে একটি ‘must-visit’ গন্তব্য। এখানে আপনি শুধু কেনাকাটা করবেন না, বরং আধুনিক জীবনযাত্রার স্পর্শও অনুভব করবেন প্রতিটি পদক্ষেপে।Mall of Africa কেবল একটি শপিং মল নয়—এটি একটি অভিজ্ঞতা। আধুনিকতা, বিলাসিতা ও সংস্কৃতির মিলনস্থল হিসেবে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে।এআই

লেবাননে ১০ কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের
লেবাননে প্রায় ১০ কোটি ডলারের সামরিক বিমান রক্ষণাবেক্ষণ ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।শুক্রবার (১১ জুলাই) পেন্টাগনের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানায়, এই প্রস্তাবিত বিক্রয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তাকে সমর্থন করবে। লেবানন মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার দেশ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।এই চুক্তির আওতায় লেবাননের সামরিক বাহিনী যে গত বছরের নভেম্বরে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে দক্ষতা দেখিয়েছে, তা আরও শক্তিশালী হবে। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে এই বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।চুক্তিতে যেসব এ-২৯ সুপার তুকানো যুদ্ধবিমান রয়েছে, সেগুলো মূলত কাছাকাছি লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালানো এবং গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহ মিশনের কাজে ব্যবহার করা হয়।এ প্রকল্পের প্রধান ঠিকাদার হচ্ছে সেইররা সিয়েরা নেভাদা করপোরেশন (এসএনসি)। এর প্রধান কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা রাজ্যের স্পার্কস শহরে অবস্থিত। চুক্তির আওতায় কোনো মার্কিন সরকারি কর্মকর্তা বা ঠিকাদারকে লেবাননে পাঠানোর প্রয়োজন হবে না।এ চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে লেবাননের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির ওপর কোনো প্রতিকূল প্রভাব পড়বে না বলেও জানিয়েছে পেন্টাগন।এমআর-২
Leave a Reply