চরম দুঃসংবাদ: বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা, ঝুঁকিতে ৩০ জেলা!

দেশে চলতি বর্ষা মৌসুমে বড় ধরনের বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।

সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ২০২৫ সালের আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম ভাগের মধ্যে পদ্মা, যমুনা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদঘেঁষা প্রায় ২০ থেকে ৩০টি জেলা প্লাবিত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।

গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ২০২০ সালের পর এ পর্যন্ত দেশে প্রকৃত অর্থে বড় কোনো বর্ষার বন্যা দেখা যায়নি। যদিও মাঝেমধ্যে আঞ্চলিক বা পাহাড়ি ঢলের মতো বন্যা হয়েছে। তার মধ্যে ২০২২ সালে সিলেটে ফ্লাশ ফ্লাড, ২০২৪ সালে চট্টগ্রামে পাহাড়ি ঢল অন্যতম।

তবে এসব ছিল মূলত হঠাৎ আসা স্বল্পস্থায়ী বন্যা। পলাশের মতে, এবার যে ধরনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তা একটি দীর্ঘস্থায়ী ও বিস্তৃত বর্ষাকালের স্বাভাবিক বন্যা হতে পারে।

তিনি জানান, বন্যাটি যদি বাস্তবে ঘটে, তবে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে—পদ্মা নদী তীরবর্তী জেলাগুলোতে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও তিস্তা অববাহিকার বিস্তীর্ণ অংশেও গুরুতর প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ অঞ্চলে অগণিত মানুষ ও কৃষিজমি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বিশেষ করে উল্লেখ করেছেন, এই বন্যা ১৫ আগস্টের পর থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশে প্রবেশ করতে পারে।

পোস্টের একাংশে আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ লিখেছেন, আমি মনেপ্রাণে চাইবো, আমার পূর্বাভাসটি ভুল প্রমাণ হোক। দেশের মানুষ যেন বড় কোনো বন্যার সম্মুখীন না হয়, এটাই আমার কামনা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে কমবেশি বন্যার মুখোমুখি হয়। তবে বর্ষাকালের প্রকৃত ‘মেজর ফ্লাড’ সাধারণত কয়েক বছর পরপর ফিরে আসে। যেমন— ২০০৭, ২০১৭ এবং সর্বশেষ ২০২০ সালে বড় ধরনের বন্যা হয়েছিল। এবার সেই চক্রে ফের ২০২৫ সালেই বড় বন্যা ফিরে আসার পূর্বাভাস দিচ্ছে বৈজ্ঞানিক মডেল ও বিশ্লেষণ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*