
কিডনির প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত আমরা বুঝতেই পারি না যে অঙ্গ দুটি ধীরে ধীরে বিকল হতে চলেছে। অনেক সময় একটি কিডনি অচল হলেও অন্যটি কাজ চালিয়ে নেয়, ফলে ক্ষতি সম্পর্কে আগেভাগে আঁচ করা যায় না। কিডনি বিকল হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোনো লক্ষণও ধরা পড়ে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনির ক্ষতি ধীরে ধীরে হলেও তার প্রভাব ভয়াবহ। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু সাধারণ উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হওয়া জরুরি। অন্যথায় শারীরিক জটিলতা বাড়তে পারে।
১. মূত্রের সমস্যা
বারবার প্রস্রাবের বেগ মানেই ডায়াবেটিস নয়, এটি কিডনির অসুখেরও লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বার মূত্রত্যাগ করলে সাবধান হোন। মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত বা অতিরিক্ত ফেনা দেখা গেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
২. ত্বকের সমস্যা
কিডনির কাজ শরীরে লবণ ও খনিজ পদার্থের ভারসাম্য রক্ষা করা। কিডনি বিকল হতে শুরু করলে ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়, ত্বকে ঘা, চুলকানি এমনকি হাড়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩. অনিদ্রা
রাতের পর রাত ঘুম না আসা কিডনির সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে মূত্রের মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের হয় না, ফলে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়।
৪. ক্লান্তিভাব
ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করছে না, কাজের সময় গায়ে জ্বর ভাব— এ ধরনের উপসর্গও বৃক্কের সমস্যার প্রধান লক্ষণ। কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে রক্তে বিষাক্ত উপাদান জমতে থাকে, এতে শরীরে ক্লান্তি ভর করে।
৫. পা ফুলে যাওয়া
কিডনির সমস্যায় রক্তে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে পায়ের পাতা ও গোড়ালি ফুলে যায়। বারবার প্রস্রাবের কারণে শরীরে জলের ঘাটতি হলে পেশিতেও টান ধরে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই উপসর্গগুলির মধ্যে একাধিক দেখা দিলে দেরি না করে নেফ্রোলজিস্টের শরণাপন্ন হোন। কারণ কিডনিকে অবহেলা মানে মৃত্যুকে আমন্ত্রণ।
Leave a Reply