নির্বাচনী জরিপে তাক লাগানো ফলাফল, আওয়ামীলীগ অংশ নিলে জিতবে কে!

নির্বাচন সামনে রেখে একটি গুরুত্বপূর্ণ জরিপ তুলে ধরেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এই জরিপ নিয়ে আলোচনা করেন।

ভিডিও বার্তায় মোস্তফা ফিরোজ বলেন, নির্বাচনের দিন-তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি বা তার আগেও হতে পারে অথবা পরেও হতে পারে।

একটা জরিপে বলা হচ্ছে যে আসন্ন নির্বাচনে এগিয়ে বিএনপি এবং দ্বিতীয় অবস্থানে জামায়াত। আর যদি আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারে, তবে তারা ১৫ শতাংশ ভোট পাবে।
তিনি বলেন, একেবারে কি হুট করে বলা যাবে, এটা অবাস্তব একটা জরিপ? না, তা কিন্তু বলা যাবে না। এর অবশ্যই একটা ভিত্তি আছে এবং হয়তো মানুষও বিশ্বাস করে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো নির্ধারিত না হলেও তরুণদের একটি বড় অংশ মনে করছেন, আসন্ন এই নির্বাচনে দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ওয়ান ইকোনমিক মডেলিং ‘সানেম’ পরিচালিত এক জরিপে এমন চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।
জরিপের ফলাফল উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, জরিপে অংশ নেওয়া তরুণদের ৩৮.৭৬ শতাংশের মতে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার দৌড়ে বিএনপি শীর্ষে থাকবে। তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জামাতে ইসলামী।

দলটির পক্ষে মত দিয়েছেন ২১.৪৫ শতাংশ তরুণ। এ ছাড়া নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি পাবে ১৫.৮৪ শতাংশ ভোট। এটাই মনে করছেন উত্তরদাতারা।
তিনি বলেন, তরুণদের মধ্যে যে জরিপ, সেই জরিপেই বলা হচ্ছে, এনসিপি পাবে ১৫ শতাংশ ভোট। ২১ শতাংশ জামায়াত আর ৩৮.৭৬ শতাংশ বিএনপি।

তো ৩৮ বা ৪০ কিন্তু বিএনপি সব সময় ভোট পেয়ে আসছে, সেটিই হয়তো এসেছে। জরিপ অনুযায়ী গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারলে ১৫ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পেতে পারে।
মোস্তফা ফিরোজ ব্যাখ্যা করে বলেন, তার মানে বোঝা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ যদি পূর্ণ মাত্রায় অংশ নেয় তাহলে তারা কিন্তু দ্বিতীয় অবস্থানে চলে যাবে। অন্যান্য ধর্মীয় দলগুলো সম্মিলিতভাবে ৪.৫৯ শতাংশ ভোট পেতে পারে। জাতীয় পার্টি পাবে ৩.৭৭ শতাংশ ভোট। অন্যান্য ছোট দলগুলোর প্রাপ্ত ভোট হবে মাত্র ০.৫৭ শতাংশ ভোট।

মোস্তফা ফিরোজ জানান, জরিপের ফল রবিবার প্রকাশ করেছে ‘সানেম’। এটি তরুণদের রাজনৈতিক ঝোঁক এবং আগ্রহের একটি উপযোগী সময়ের সঠিক প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। হয়তো এদিক-সেদিক হবে। কিন্তু এই জরিপের যে বাস্তবতাটা বা ফলাফল, এটা কিন্তু অস্বীকার করা যাবে না। এ রকম যদি আরো অসংখ্য জরিপ হয়, তাহলে কিন্তু বোঝা যাবে ট্রেনটা কোন দিকে যাচ্ছে। এই ট্রেনটা নির্বাচনের আগে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হলে সেটা হয়তো পাল্টাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ট্রেন কিন্তু এমনই। জরিপে কিন্তু সেটাই বলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এটাই বোঝা যাচ্ছে বিএনপির ধারেকাছে কিন্তু এখনো কেউ নেই। যতই বিএনপিকে চ্যালেঞ্জ দেওয়া হোক, যতই বিএনপিকে খোঁচা দেওয়া হোক, তাদের নানা অপকর্মের কথা বা অন্য বিষয়গুলো তুলে ধরা হলেও বিএনপি কিন্তু এখনো সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। লিবারেল ডেমোক্রেটিক ফোর্স হিসেবে আওয়ামী লীগ যেহেতু নেই, সুতরাং এখন একমাত্র ভরসা কিন্তু বিএনপি, এটা হচ্ছে বাস্তবতা। এটা ভোটারদের কথা। এটা মনে করবেন না যে আমি কোনো জরিপ প্রকাশ করলাম।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*