শিক্ষককে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করল জনতা

ছুটির দিনে স্কুলের শ্রেণী কক্ষে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে এক শিক্ষক কে স্কুল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

রবিবার ক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার কোচিং ক্লাস শেষে বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় এক ছাত্রীকে নিয়ে দীর্ঘ ৩৭ মিনিট অবস্থান করেন শিক্ষক শফিকুর রহমান। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের সঠিক প্রতিকার না মেলায় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়।

ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “শিক্ষক শফিকুর রহমান শনিবার যে মেয়েটির সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার জন্য চেষ্টা করে । আগেও এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন একটি তদন্ত চলমান ছিল ।ওই সময় বলা হয়েছিল কোন মেয়েকে তুমি পড়াতে পারবে না। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেই তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। অথচ আবারও একই ঘটনায় ধরা পড়েছে।”

প্রসঙ্গত, এর আগেও শিক্ষক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, প্রশ্ন ফাঁস ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত ২৬ মে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলেও তদন্তের পরও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের।

অভিযুক্ত শিক্ষক শফিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। তিন বলেন আপনারা দেখেছেন শিক্ষার্থীরা আমাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে।”

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজহারুজ্জামান মুকুল বলেন, “আমি বিদ্যালয়ে এসে ঘটনাটি শুনেছি। তবে লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ পাইনি। শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে অবশ্যই শোকজ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষককে এভাবে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া একেবারেই অপ্রত্যাশিত এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*