যে ভিটামিনের অভাবে সারাক্ষণ ঘুম পায়, জেনে নিন

সাধারণত, একজন ব্যক্তির জন্য দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম পর্যাপ্ত। কিন্তু সারারাত ঘুমিয়েও সকালে উঠতে অনেকের ক্লান্তি অনুভব হয়। সকালের নাস্তা সারতেই চোখে যেন ঘুম আবারও জেঁকে বসে। ঘুম পাওয়া খুবই স্বাভাবিক, তবে মাত্রাতিরিক্ত ঘুম কী কারণে হয় তা জেনে নিন-

বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত দুটি ভিটামিনের অভাবেই এই লক্ষণ দেখা যায়। এর কারণে কাজ করতে ভালো লাগে না। প্রবল আলস্য ঘিরে ধরে শরীরকে। এ থেকে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যেতে পারে।

মূলত ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতির কারণে শরীরে এই আলস্য ভাব দেখা যায়।

ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি১২-

ভিটামিন ডির কমতির জন্য হাড়ের জোর কমে, চুল পড়তে শুরু করে। দীর্ঘদিন যাবৎ রোদে না বের হওয়ার ফলে এই ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হতে পারে। ভালো খাবারের অভাবেও এই ঘাটতি দেখা দেয়। তাই এই সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন দুধ, দই বা পনির জাতীয় খাবার পাতে রাখতে হবে, যা থেকে ভালো মাত্রায় ভিটামিন ডি মিলবে।

ভিটামিন ‘বি’, বিশেষ করে বি-১২ হলো সেই অন্যতম প্রধান ভিটামিন যার অভাবে ক্লান্তি বাড়ে ও ঘুম বেশি পেতে থাকে। এছাড়া, রক্তস্বল্পতার কারণে ক্লান্তি পেতে পারে, যা অতিরিক্ত ঘুমের দিকে পরিচালিত করে।

লোহিত রক্তকণিকা এবং ডিএনএ উৎপাদনের জন্য ভিটামিন বি১২ অপরিহার্য। এটি স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতার জন্যও অপরিহার্য। যখন আপনার শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন বি১২ পায় না তখন আপনি সারাক্ষণ ক্লান্ত বোধ করতে পারেন। এমনকি ঘুম ঘুম বোধ হতে পারে।

অন্যদিকে সয়াবিন খেলেও ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি১২ দুটির চাহিদাই পূরণ হয় ভালোভাবে।

ভিটামিনের ঘাটতির এই লক্ষণ আগে থেকে দেখে সচেতন না হলে পরে বড় কোনো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তাই সতর্ক হোন। মনে রাখবেন আমাদের শরীরে এই ভিটামিন তৈরি হয় না। খাদ্য থেকে এটি আহরণ করতে হয় শরীরকে। ভিটামিন বি১২ এর খাদ্য উত্স হলো মাছ, মাংস, ডিম, স্যামন।

সূত্র : এবিপি লাইভ ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*