২২ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে না হলে মেয়েদের ৭ টি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়

নারী আর পুরুষের সমান অধিকার আছে, এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক লেগেই রয়েছে , কিন্তু সমাজের তো অনেক কিছুই বদলেছে কিন্তু কিছু প্রচলতি ধ্যান ধারণা আজও রয়ে গিয়েছে – একটি মেয়ের জীবনের মূল লক্ষ্যই হল বিয়ে৷ এই ধারণাটাই আজও মানুষের মনে কুসংস্কারের মতো গেঁথে আছে। কথায় বলে নাকি মেয়েরা কুড়িতেই বুড়ি।

কোনও মেয়ের বয়স একটু বাড়লেই তাঁর নিজের পরিবার, আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব, এমনকি পাড়া প্রতিবেশীরাও তাঁর বিয়ের ব্যাপারে এত ধরনের প্রশ্ন করে যা অনেক সময় অবিবাহিতা মেয়েদের কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আসুন এক ঝলকে আমরা দেখে নিই যে, ২২ বছর বয়স পেরিয়ে গেলে অবিবাহিত মহিলাদের কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় :-

প্রথমত হল, বাড়ির ভিতরেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই রোজ রোজ মেয়ের বিয়ে না দিতে পারার জন্য বাবা-মাকে হা হুতাশ করতে শোনা যায়। অনেক সময় নিজের বাবা-মাকে এরকম চিন্তা করতে দেখে মেয়েরা নিজেরা নিজেদেরকেই অপরাধী বলে মনে করে৷

তৃতীয়ত হল, কোনও বিয়ে বাড়িতে অথবা অনুষ্ঠান বাড়িতে অবিবাহিতা মেয়েরা যেতে পারেন না৷ কারণ সেখানে মনের আনন্দে সেজে গুজে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করা যায়না৷ সেখানেও একই রকম প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।
চতুর্থত হল, আপনার হয়তো একটু বয়স হয়ে গিয়েছে কিন্তু বিয়ে হয়নি, তাই তিনি ঠিক কেমন পোশাক পরবেন তা নিয়েও সবার মধ্যেই একটা দ্বন্দ্ব থাকে। বেশি জমকালো পোশাক পরলে আবার কেউ কেউ তা না পরার জন্য আদেশ দেন তো কেউ আবার কেউ কেউ আবার হাসাহাসিও করে থাকেন৷

পঞ্চম, যদি একটু বয়স বেশি বয়েস হয়ে যায় তাহলে কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়ে একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পরতে হয়, কারণ দেখে খারাপ লাগে যখন সমবয়সীরা এমনকী নিজের থেকেইও ছোটরাও যেখানে স্বামীর অথবা বয়ফ্রেন্ডের হাত ধরে সেখানে যাচ্ছে অথচ সেখানে তিনি সঙ্গীবিহীন।

ষষ্ঠত, ২২ বছর হয়ে গেলেও যে নারীর বিয়ে হয়নি তাঁরনিরাপত্তাও অনেক সময় বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, কারণ এই একা মহিলাদের অনেকেই সহজলভ্য মনে করে এবং নানা রকম কুপ্রস্তাব দেন৷ এমনকী এমনও হয়েছে একা রয়েছেন বলেই অনেক পুরুষের ও শিকার হয়ে যান৷

সপ্তমত, কোনও মেয়ে বিয়ে না করে একা রয়েছেন, এটা শুনলে অনেকেই তাঁকে ভাল চোখে দেখবেন না এবং একটি অবিবাহিত মহিলা সম্পর্কে নানান মিথ্যা দুর্নাম রটানো হয়৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*