পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালালেন মা, কাঁদছে প্রবাসীর ২ সন্তান

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানদের রেখে দুই বছর আগে ইতালি যান প্রবাসী সাইফুল ইসলাম। স্ত্রী সুমাইয়ার (২৫) সঙ্গে দীর্ঘ আট বছরের সংসার তার। তবে সাইফুলের দুই সন্তানকে রেখে পরকীয়া প্রেমে মজে এক পুলিশ কনস্টেবলের হাত ধরে পালিয়েছেন সুমাইয়া। গত মে মাসের ৯ তারিখে দুই সন্তানকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান এই নারী। এই ঘটনায় অসহায় হয়ে পড়েছে সাইফুলের সাত ও চার বছর বয়সী দুই সন্তান।

পরিবারের সুখের কথা চিন্তা করে দেশ ছাড়েন সাইফুল ইসলাম। প্রতিমাসে টাকা পাঠিয়ে আসছিলেন তিনি। তবে এই সময়ে গৃহিণী সুময়াইয়া আরাফাত আদর (৩০) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।

এই ঘটনায় প্রবাসী সাইফুল ইসলামের বোন জামাই মো. জানে আলম বাদী হয়ে সুমাইয়া ও তার প্রেমিকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- সুমাইয়ার বাবা হানিফ মিয়া (৫০), মা নাজমা বেগম (৪১) ও বোন হেনা আক্তার (২০)।

জানা গেছে, অভিযুক্ত পরকীয়া প্রেমিক আরাফাত আদর নাসিকের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি ডিএমপির পল্টন থানা পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।

এ বিষয়ে প্রবাসী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি প্রবাসে আসার এক বছর পর থেকে আমার স্ত্রী পল্টন থানার পুলিশ কনস্টেবল আরাফাত আদর নামের একজনের সঙ্গে পরকীয়ায় মগ্ন হন। তাদের সম্পর্কের একপর্যায়ে গত মে মাসে আমার দুই সন্তানকে ফেলে রেখে স্ত্রী ওই ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যান। আমার মোটা অঙ্কের নগদ অর্থ আর স্বর্ণালংকার নিয়ে তারা বর্তমানে ঢাকার সবুজবাগ থানার মাদারটেক এলাকায় বসবাস করছেন বলে আমি খবর পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, একদিকে আমি দেশে নেই, অপরদিকে মা চলে যাওয়ার পর থেকে আমার শিশু দুইটা সন্তান এখন পাগল প্রায়। আমার বোন তাদের দেখভাল করছে।

বক্তব্যের জন্য পুলিশ কনস্টেবল আরাফাত আদরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে আরাফাতের স্ত্রী ইমা বলেন, আমার স্বামী পল্টন থানায় কর্মরত। তিনি ওই মেয়ের সঙ্গে ভেগে যায়নি, মেয়েটাই চলে আসছিল। আমার স্বামী বর্তমানে আমার সঙ্গেই বসবাস করছে। তিনি বর্তমানে অসুস্থ তাই কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে না। তার ফোন নাম্বার বন্ধ রয়েছে।

নিজ থানার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মুহাম্মদ নাসির উল আমিন বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। খোঁজ নিতে হবে। এখন কিছু বলা সম্ভব না।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্ত কোনো পুলিশ সদস্য কিনা আমাদের জানা নেই। প্রবাসীর স্ত্রী সুমাইয়ার বিষয়ে গতকাল রাতে ডিএমপির এক পুলিশ আমাদের ফোন করছিলেন। তার বরাতে জানতে পেরেছি যে, মেয়েটি তার স্বামীকে এ মাসে ডিভোর্স দিয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*