অবশেষে জানা গেল, গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে যত জন!

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অনেকে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে গেলও তাদের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি। খবর বিবিসি বাংলার।

গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বিবিসি বাংলাকে জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনের মরদেহ সদর হাসপাতালে এসেছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এদিকে, হামলা ও সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাত থেকে ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

গোপালগঞ্জে ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি
সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ জানিয়েছেন, বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ কারফিউ জারি থাকবে।

এর আগে বিকেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জ সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

এদিন বিকেলে গোপালগঞ্জে সভা শেষে ফেরার পথে এনসিপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এসময় গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

এরপর এনসিপির শীর্ষ নেতারা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেন। পরে সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কে করে নিরাপদে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি
এদিকে, হামলার ঘটনায় সারাদেশে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। হামলায় উদ্বেগ জানিয়ে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জামায়াত আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*