মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় দুই আসামি রিমান্ডে

রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ (৩৯) নামের এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে মাথা থেঁতলে হত্যা করার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় দুইজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

শুক্রবার (১১ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহমুদুল হাসান এ আদেশ দেন। আসামিরা হলেন- মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিন (২২)।

এর আগে বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক সোহাগকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার তারেক রহমান রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আদালত সূত্রে জানা যায়, হত্যা মামলায় কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক নাসির উদ্দিন মাহমুদুল হাসান মহিনের ১০ দিন, অস্ত্র মামলায় তারেক রহমান রবিনের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন একই থানার উপপরিদর্শক মো. মনির। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানী শেষে আদালত মাহমুদুল হাসান মহিনের ৫ দিন এবং তারেক রহমান রবিনের ২ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এসকে/আরআই

সম্পর্কিত:

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় দুই আসামি রিমান্ডে

রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ (৩৯) নামের এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে মাথা থেঁতলে হত্যা করার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় দুইজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।শুক্রবার (১১ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহমুদুল হাসান এ আদেশ দেন। আসামিরা হলেন- মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিন (২২)।এর আগে বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক সোহাগকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার তারেক রহমান রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।আদালত সূত্রে জানা যায়, হত্যা মামলায় কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক নাসির উদ্দিন মাহমুদুল হাসান মহিনের ১০ দিন, অস্ত্র মামলায় তারেক রহমান রবিনের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন একই থানার উপপরিদর্শক মো. মনির। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানী শেষে আদালত মাহমুদুল হাসান মহিনের ৫ দিন এবং তারেক রহমান রবিনের ২ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।এসকে/আরআই

হত্যার পর লাশের ওপর দাঁড়িয়ে নৃশংসতার ভিডিও ভাইরাল, যা জানা গেল

রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল কম্পাউন্ডে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে। এরপর নিথর দেহটাকে সড়কে ফেলে তার ওপর দাঁড়িয়ে চলেছে প্রকাশ্য উন্মত্ততা। শত শত মানুষের সামনে নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায়। ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ইতোমধ্যে গণমাধ্যমের হাতে এসেছে।ঘটনার সময় অদূরেই চলছিল হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা, নিরাপত্তায় ছিলেন আনসার ক্যাম্পের সদস্যরাও। তবে, ভয়ে এগিয়ে আসেনি কেউ। যখন ওই ব্যবসায়ীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলো, তখন চিকিৎসক জানালেন, আগেই মারা গেছেন সোহাগ।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুধু হত্যা করেই থেমে থাকেনি সন্ত্রাসীরা। সোহাগের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পরও লাশের ওপর চলতে থাকে নৃশংসতা। রক্তাক্ত নিথর দেহটি রাস্তার মাঝখানে ফেলে লাশের ওপর দাঁড়িয়ে চলে ভয়াবহ উন্মত্ত উল্লাস। একজন নয়, একাধিক যুবক লাশের নাক-মুখে এবং বুকের ওপর একের পর এক আঘাত করে যেতে থাকে।ওই এলাকার একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আতঙ্কিত অনেক লোকজন ভিড় করে তাকিয়ে কী যেন একটা ঘটনা দেখছেন! কিছুক্ষণ পর দেখা যায়, সোহাগের অর্ধবিবস্ত্র নিথর দেহ দুই তরুণ টেনেহিঁচড়ে রাস্তার মাঝখানে নিয়ে আসে। ওই সময় আশপাশে শত শত লোক দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু, ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেননি।ভিডিওতে দেখা যায়, নিথর দেহটি টেনেহিঁচড়ে নিয়ে আসা লোকদের মধ্যে একজন মোবাইলে কথা বলছিল। ওই সময় দুই হাত-পা ছড়িয়ে পড়ে থাকা সোহাগের রক্তাক্ত মুখের ওপর কিলঘুষি দিতে থাকে আরেকজন। অন্য এক তরুণ দৌড়ে এসে পড়ে থাকা নিথর দেহের বুকের ওপর লাফাচ্ছিল! মানুষজনও দেখছিল এমন ভয়ংকর দৃশ্য।প্রকাশ্যে কেন এই নৃশংসতা?পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, নিহত সোহাগ মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙাড়ি ব্যবসার সঙ্গে পুরোনো বৈদ্যুতিক কেবল কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। তার দোকানের নাম সোহানা মেটাল। ওই এলাকায় বিদ্যুতের তামার তার ও সাদা তারের ব্যবসার একটা সিন্ডিকেট রয়েছে। এর নিয়ন্ত্রণ ছিল সোহাগের কাছে। তবে, নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া ছিল মাহমুদুল হাসান মহিন ও সারোয়ার হোসেন টিটু নামে আরও দুজন। তারা ওই অবৈধ বাণিজ্যের ৫০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ চেয়েছিল। তা না হলে নিয়মিত চাঁদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল তারা। এর জেরেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সেই দ্বন্দ্বেই ঘটেছে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড। ঘটনার দিন সোহাগকে তার দোকান থেকে ডেকে আনা হয়েছিল।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত সোহাগ ও হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া মহিন, টিটুসহ জড়িত অন্যরাও ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তারা দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিত এবং স্থানীয়ভাবেও তাদের সবাই যুবদলের নেতা বলে জানে।হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত মাহমুদুল হাসান মহিন, সারোয়ার হোসেন টিটু, মনির ওরফে ছোট মনির, আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, নান্নু, সজীব, রিয়াদ, টিটন গাজী, রাকিব, সাবা করিম লাকী, কালু ওরফে স্বেচ্ছাসেবক কালু, রজব আলী পিন্টু, মো. সিরাজুল ইসলাম, রবিন, মিজান, অপু দাস, হিম্মত আলী, আনিসুর রহমান হাওলাদারসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনার মূলহোতা মহিনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরেক আসামিকে যৌথ বাহিনী আটক করেছে।নিহতের ভাগ্নি মীম আক্তার জানান, তার মামার পরিচিত লোকজনই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তার মামা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসা করতেন। কিন্তু টিটু, মহিনসহ স্থানীয় আরও কয়েকজন এই ব্যবসায় ভাগ বসাতে চাচ্ছিল। ওই প্রতিপক্ষের লোকজনও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।তিনি জানান, খুনিরা সোহাগের কাছে ব্যবসার ৫০ শতাংশ অংশীদার দাবি করেছিল। নইলে লাভের ৫০ শতাংশ চাঁদা দেওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল।নিহতের অন্য এক স্বজন জানান, বুধবার দুপুরে টিটু সোহাগের বাসায় খাওয়া-দাওয়া করে। ভাত খাওয়ার সময় টিটু সোহাগকে বলে সব মিটমাট করে ফেলবে। কোনো ঝামেলা ছাড়াই যেন ব্যবসা করা যায়, সেজন্য সবার সঙ্গে বসে একবার কথা বললেই হবে। এই কথা বলে টিটু সোহাগকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করা ৪০ থেকে ৫০ জন সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনের এডিসি আমিনুল কবির তরফদার বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক এবং ভয়াবহ। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। সব আসামিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে।এনআই

ইলিশ যেন শুধু ধনীদের ফ্রিজে বন্দি, গরিবের ভাগ্যে নেই তার ঘ্রাণও

ইলিশ জাতীয় মাছ, বাঙালির শ্রেষ্ঠ রসনার প্রতীক। একসময় পদ্মা-মেঘনার ঘাটে দাঁড়ালেই মিলত রূপালি এই স্বপ্ন। কিন্তু এখন সেই ইলিশ যেন শুধুই ধনীদের ফ্রিজে বন্দি এক বিলাস্য বস্তু, সাধারণ গরিব মানুষের জন্য তা কেবল টিভির বিজ্ঞাপন কিংবা ফেসবুকের পোস্টে দেখা এক অলীক স্বপ্ন।গত কয়েক বছর ধরে ইলিশের দাম বাড়ছে আকাশচুম্বী হারে। এক কেজির একটি মাঝারি আকারের ইলিশ কিনতে গেলে ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে। যার কারণে নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে ইলিশ কেনা তো দূরের কথা, বাজারে দাঁড়িয়ে দাম জিজ্ঞাসা করাও যেন একপ্রকার সাহসের কাজ। বাজারের মাছ বিক্রেতারাও বলে ফেলেন—’এই মাছ গরিবের জন্য না ভাই।’বিশেষ করে ঈদ, পূজা কিংবা বিশেষ দিবস এলে ইলিশের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ‘মাছ নয়, যেন সোনা’। অথচ এক সময় ইলিশ ছিল বাঙালির ঘরে ঘরে নিত্য খাবার। এখনকার শিশুরা গল্পে শোনে—দাদু-নানিদের সময় ইলিশ ভাজা ভাত ছিল প্রতিদিনের আহার।ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষজন ইলিশের দিকে তাকিয়েই দীর্ঘশ্বাস ফেলে চলে যাচ্ছেন। উত্তরার রিকশাচালক হানিফ বলছিলেন—“আমার বাচ্চা ইলিশ খাইতে চায়, কিন্তু ২ হাজার টাকার মাছ কিনে আমি খাইলে ভাত কিনবো কী দিয়ে?” তার চোখে হতাশার ছায়া, বুকের ভেতর যেন গ্লানি।অন্যদিকে, ধনী পরিবারগুলোর জন্য ইলিশ এখন ‘আইটেম’ খাবার। এক ফ্রিজে তিন-চারটা ইলিশ রাখা যেন মর্যাদার প্রতীক। শুধু তাই নয়, উপহার হিসেবে ইলিশ পাঠানো, পার্টি আয়োজন করে ইলিশ পোলাও খাওয়ানো এখন এক অভিজাত সংস্কৃতিতে রূপ নিয়েছে। ইলিশ উৎসব এখন কেবল অভিজাত হোটেল ও অভিজাত শ্রেণির ঘরের আয়োজন।অবস্থা এমন যে, জাতীয় মাছ হয়েও ইলিশ হয়ে গেছে শ্রেণি বৈষম্যের প্রতীক। ইলিশ এখন আর গরিবের মাছ নয়, ধনীদের রসনার আয়োজন। সরকারের পক্ষ থেকে ইলিশের প্রজনন ও সংরক্ষণের জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও, বাজার ব্যবস্থাপনা ও ন্যায্য দামের কোনো নিশ্চয়তা নেই। যার ফলে এই মাছ আর ‘সবাইয়ের মাছ’ হয়ে থাকছে না।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, বাজারে একটি ন্যায্য নিয়ন্ত্রণ ও বিতরণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে গরিব মানুষও বছরে অন্তত একদিন হলেও পরিবারের সাথে বসে ইলিশ খেতে পারে। কারণ, জাতীয় মাছ কেবল গর্বের প্রতীক নয়, তা হওয়া উচিত সবার অধিকার।ইলিশ শুধু পোস্টারে নয়, প্রতিটি ঘরে হোক অংশ। জাতীয় মাছ যেন হয়ে না পড়ে কেবল ধনীদের বৈঠকখানার গল্প। গরিবের ঘরেও যেন ছড়িয়ে পড়ে সেই রূপালি ঘ্রাণ। নয়তো ‘ইলিশ খেয়েছি’—এই কথাটাও একদিন ইতিহাসের পাতায় পড়ে থাকবে, শুধুই ‘ধনী’দের স্মৃতিচারণায়।এআই

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

প্রয়োজনীয় কেনাকাটা কিংবা ঘুরতে গিয়ে যদি দেখেন ওই এলাকার মার্কেট বন্ধ, তাহলে মনটাই খারাপ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে নষ্ট হয় সময়ও। তাই বাসা থেকে বের হওয়ার আগে জেনে নিন বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর কোন কোন এলাকার দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।বন্ধ থাকবে যেসব এলাকার দোকানপাট: মগবাজার, বেইলি রোড, সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগের একাংশ, শাজাহানপুর, মোহাম্মাদপুর, আদাবর, শ্যামলী, গাবতলী, মিরপুর-১, মিরপুর স্টেডিয়াম, চিড়িয়াখানা এলাকার দোকানপাট, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, আসাদগেট, ইস্কাটন, শান্তিনগর, শহীদবাগ, শান্তিবাগ, ফকিরারপুল, পল্টন, মতিঝিল, টিকাটুলি, আরামবাগ, কাকরাইল, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা, হাইকোর্ট ভবন এলাকা, রমনা শিশু পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট: শাহ্ আলী সুপার মার্কেট, মিরপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, আনারকলি মার্কেট, আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স, কর্নফুলি গার্ডেন সিটি, কনকর্ড টুইন টাওয়ার, ইস্টার্ন প্লাস, সিটি হার্ট, মোহাম্মাদপুর টাউন হল মার্কেট, কৃষি মার্কেট, আড়ং, বিআরটিসি মার্কেট, শ্যামলী হল মার্কেট, মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, মাজার ক-অপারেটিভ মার্কেট, মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্স, জোনাকি সুপার মার্কেট, গাজী ভবন, পল্টন সুপার মার্কেট, স্টেডিয়াম মার্কেট-১ ও ২, গুলিস্থান কমপ্লেক্স, রমনা ভবন, খদ্দর মার্কেট, পীর ইয়ামেনি মার্কেট, বাইতুল মোকাররম মার্কেট, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট, সাকুরা মার্কেট।এসকে/এইচএ

এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ফের ককটেল বিস্ফোরণ

রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ফের ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।আজ বুধবার রাত ১০টা ৫৮ মিনিটে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিকুস সালেহীন।এ সময় এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার জুলাই পদযাত্রার চিত্র প্রদর্শনী চলছিল। ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিকুস সালেহীন বলেন, ‘রমনা থানায় ঘটনাটি জানানো হয়েছে।’উল্লেখ্য, এর আগেও ওই এলাকায় তিনবার ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।এফএস

লাগেজে নয়, পাঞ্জাবির পকেটে মিলল কোটি টাকার স্বর্ণ

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুই ব্যক্তির পাঞ্জাবির পকেটে তল্লাশি চালিয়ে ২১ ও ২২ ক্যারেটের ৮৯৬ গ্রাম সোনার গহনা জব্দ করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- মো. হাছান (৩৯) ও মো. শাহাজান (৪৯)।এপিবিএন জানায়, গ্রেপ্তার দুজন বিভিন্ন দেশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় যাত্রীর মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে সোনা আনেন বাংলাদেশে। দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরে সোনা চোরাচালান সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত এবং রিসিভার হিসেবে কাজ করে আসছিলেন আটক এই দুজন।মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) দিবাগত রাতে এপিবিএনের অপারেশনাল কমান্ডার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক গণমাধ্যমের কাছে এসব তথ্য জানান।তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আগমনী এক নম্বর ক্যানোপি এলাকা থেকে মো. হাছান ও মো. শাহাজান নামের দুজন ব্যক্তি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সুকৌশলে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় এপিবিএন ফোর্স তাদের আটক করে। পরে তাদের এপিবিএন অফিসে নিয়ে শরীর তল্লাশি করলে হাছানের পাঞ্জাবির পকেট থেকে ৫০২ গ্রাম ও মো. শাহাজানের পাঞ্জাবির পকেট থেকে ৩৯৪ গ্রাম সোনার গহনা উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, দুজনের কাছে থাকা সোনার গহনা জব্দতালিকা মূলে জব্দ করা হয়। এগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য এক কোটি সাত লাখ চার হাজার ৩০০ টাকা।এপিবিএনের এই কর্মকর্তা বলেন, সোনার গহনার মান ২১ ও ২২ ক্যারেট। গ্রেপ্তার দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় যাত্রীর মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে সোনা আনেন তারা। দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরে সোনা চোরাচালান সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত এবং রিসিভার হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।মোজাম্মেল হক আরও বলেন, বিমানবন্দর এলাকায় চোরাচালান রোধ ও অন্যান্য অপরাধ দমনে নিয়মিত কাজ করে আসছে এপিবিএন। সাম্প্রতিক সময়ে সোনা চোরাচালানের তৎপরতা বেড়েছে। বিমানবন্দর ব্যবহার করে যে কোনো চোরাচালান রোধে আমরা বদ্ধপরিকর।এআই

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*